মানসিক ও শারীরিক অবসাদ জেঁকে বসেছে, তাই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ছুটি চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তার দাবি মেনে নিয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে বিশ্রাম দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ছুটি মঞ্জুর হওয়ার পরই দুবাই থেকেই ফোন করে বোর্ড কর্মকর্তাদের নাকি সাকিব জানান, টেস্টে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি।
এর পরপরই ঘোষণা আসে, তিন সংস্করণের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেই আছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর বক্তব্য অনুযায়ী, এই চুক্তির তালিকা তৈরি হয় এক মাস আগে; যখন সাকিব টেস্ট খেলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
সাকিব ছুটি চাওয়ার পরও কেন তাকে তালিকায় রাখা হয়েছে, সেটা জানালেন নির্বাচক কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। তার মতে, ৩৪ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের ছুটি চাওয়া আনুষ্ঠানিক ছিল না।
এজন্য তাকে কোনো একটি ফরম্যাট থেকে বাদ রাখার চিন্তা করেনি নির্বাচক প্যানেল। সাকিবের সঙ্গে কথা বলেই তাকে সব ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা হয়েছে বললেন সাবেক এই স্পিনার, ‘৬ মাসের ছুটির যে কথা বলছেন তা আনুষ্ঠানিক কিছু না।
যেহেতু আনুষ্ঠানিক নেই… কেউ দুটি সিরিজ বিশ্রাম নিলে তাকে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা যাবে না এটা না। এখানে সিস্টেম হলো- বোর্ড প্রথমে কথা বলেছে কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। তারপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিবের মতো বড় মাপের খেলোয়াড়ের মূল্য কতটা সেটা জানিয়ে রাখলেন রাজ্জাক, ‘সাকিব কিন্তু এখনো কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি।
সাকিব এই মাপের খেলোয়াড় যে নিজে কোনো ফরম্যাট থেকে সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে তাকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন। এখনো সাকিবের সঙ্গে আমাদের ওরকমভাবে কথা হয়নি। যেহেতু হয়নি, ফট করে একটা কথা বলে দেওয়া ঠিক না। কথা হলে জানতে পারবেন।’
এরপর সাংবাদিকদের কাছেই প্রশ্ন রাখলেন তিনি, ‘আপনি যদি নির্বাচক হতেন, কী করতেন? সাকিবকে বাদ দিতেন না রাখতেন?’