টি-টোয়েন্টি দলের খোলনলচে বদলে ফেলতে উঠে পড়ে লেগেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে নতুন শুরুর প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে মেলেনি তেমন কিছুই। এশিয়া কাপের আগে নিজেদের মাঝে ভাগ হয়ে খেলা প্রস্তুতি ম্যাচে শেখ মেহেদি, সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ছাড়া কেউই টি-টোয়েন্টি ঘরানার ব্যাটিং করতে পারেননি। তবে দুবার ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয়বার সফল হয়েছেন মেহেদি ও সাকিব। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সাকিবের লাল দলকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আফিফ হোসেন ধ্রুবর সবুজ দল।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সবুজ দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মাহফিজুল রবিন এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। দারুণ ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৫৪ রান।
মিরাজের বিদায়ে ভাঙে তাদের এই জুটি। সাকিবের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আল আমিন হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২১ বলে ২৯ রান করা মিরাজ। ডানহাতি এই ব্যাটারের বিদায়ের পরের ওভারেই আউট হয়েছেন রবিন। আল আমিনের বলে স্কুপ করতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ২৪ বলে ২৪ রান করে ফেরেন যুব দলের এই ওপেনার।
তিনে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ। বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দেন ১৫ বলে ৮ রান করা সবুজ দলের এই অধিনায়ক। এরপর ২১ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে আউট করেন মুরাদ।
এরপর অবশ্য মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মেহেদি মিলে বেশ ভালো একটি জুটি গড়েন। লাল দলের ক্রিকেটার হলেও এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকায় তাদের ব্যাটিং বাজিয়ে দেখতে সবুজ দলের হয়ে ব্যাটিংয়ে পাঠান টিম ম্যানেজমেন্ট। তিন চার ও একটি ছক্কায় ১৭ বলে ২৬ রান করে সাইফউদ্দিন আউট হয়ে ফিরলেও সবুজ দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মেহেদি।
ডানহাতি এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৭ চারে ১৬ বলে ৩১ রান করে। আল আমিনের বলে ছক্কা মেরে সবুজ দলের ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন শামীম পাটোয়ারি। এদিকে দুবার ব্যাটিং করার সুযোগ পেলেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি আফিফ। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে রান আউট হন মাত্র ১ রানে। লাল দলের হয়ে সাকিব ও হাসান মুরাদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তোলে লাল দল। দুবার ওপেনিংয়ে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন বিজয়। দুবার ব্যাটিং করতে নামা এই ব্যাটার ২৩ রান। যেখানে প্রথমবার ৪ এবং দ্বিতীয়বার ১৯ রান করেন। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ রান।
তিনে নেমে শূন্য রানে আউট হন মেহেদি। প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব ১৭ রানে আউট হলেও দ্বিতীয়বার অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে। এ ছাড়া মোসাদ্দেক ১৭ বলে ৩০, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১২ এবং মুশফিক ২২ রান করেছেন। সবুজ দলের হয়ে নাসুম ও তাসকিন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বিসিবি লাল দল- ১৬৫/৭ (২০ ওভার) (বিজয় ৪ & ১৯, সাকিব ১৭ & ৩৬*, মোসাদ্দেক ৩০*, ইমন ২১, মুশফিক ২২, রিয়াদ ১২; তাসকিন ২/৪২, নাসুম ২/২৩)
বিসিবি সবুজ দল (লক্ষ্য ১৪৮)- ১৫০/৬ (১৯.৫ ওভার) (মেহেদি ৩১*, সাইফউদ্দিন ২৬, রবিন ২৪, মিরাজ ২৮, তানজিদ ১৯, আফিফ ৮ & ১; সাকিব ২/২৯, মুরাদ ২/১০)