ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ভিন্ন দুই ম্যাচে ভিন্ন দুই অভিজ্ঞতার স্বাদ পেয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান ও আবাহনী। তানজিম হাসান সাকিবের ৫ উইকেট শিকারের পর, হনুমা বিহারীর শতকে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। অন্যদিকে এনামুল হক বিজয়ের ৯৪ রানে ভর করে মোহামেডানকে ১২৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক।
শীর্ষস্থান ধরে রাখার ম্যাচ শনিবার (০২ এপ্রিল) ডিপিএলে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে প্রাইম ব্যাংক। তবে দলীয় রান ৬৪ হবার আগেই দুই উইকেট হারায় তারা। যদিও উইকেট হারালেও দলটির রানের চাকা সচল রাখেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়।
তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। এই দুজনের ১৩১ রানের জুটিতে ভর করেই মূলত বড় সংগ্রহের আভাস পায় প্রাইম ব্যাংক। তবে আসরের তৃতীয় শতক থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেকে আউট হন বিজয়।
বিজয়ের পথ ধরে ব্যক্তিগত ৬০ রানে আউট হন মিঠুনও। শেষের দিকে নাসির হোসেন, শামসুর রহমান ও মাহেদী হাসানের ছোট ছোট পুঁজিতে ৩১২ রান জমা করে দলটি। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন সৌম্য সরকার।
৩১৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও প্রত্যাশিত ছিল না সাদা-কালো শিবিরের জন্য। দলীয় ২২ রানেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও সৌম্য। হাল ধরতে পারেননি পাকিস্তানি রিক্রুট মোহাম্মদ হাফিজও। মোহামেডান অধিনায়ক ৩৪ রান করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। দলীয় ৯৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে, হারার আগেই হেরে বসে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। তবে দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমান যুব বিশ্বকাপ খেলে আসা আরিফুল ইসলাম।
১৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের ৫৩ রানের বদৌলতে ১৮৫ তোলে মোহামেডান। প্রায় ১২ ওভার আগেই প্রতিপক্ষকে অলআউট করার বড় কৃতিত্ব রাকিবুল হাসানের। এই স্পিনার একাই নেন ৪ উইকেট।
অন্যদিকে মোহামেডানের তিক্ত হারের দিনে, ব্রাদার্স ইউনিয়নকে পাত্তাই দেয়নি আবাহনী। সাকিবের বোলিং নৈপুণ্য আর হনুমা বিহারীর শতকে ৬ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের দল। পয়েন্ট টেবিলে প্রাইম ব্যাংকের পরেই তাদের অবস্থান।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। রানের খাতা খোলার আগেই আরাফাত সানির বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ আশরাফুল। শুরুতেই অধিনায়ককে হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৭৪ রানের মধ্যেই চারটি উইকেট হারায় দলটি। পঞ্চম উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন শামসুল ইসলাম অনিক ও মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির। অনিককে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন সাকিব।
আবাহনীর তরুণ পেসার সাকিব শিকার করেন পাঁচটি উইকেট। সাদিকুর রহমান, সাব্বির, অনিক, চতুরাঙ্গা ডি সিলভা ও মঈন খানের উইকেট নেন সাকিব। এছাড়াও দুইটি করে উইকেট পান সাইফউদ্দিন ও তানভীর ইসলাম। তাতে ২১৯ রানে অল-আউট হয় ব্রাদার্স। দলের পক্ষে ৭১ বলে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন সাব্বির।
তুলনামূলক সহজ লক্ষ্য তাড়া শুরুতে তিন উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খেলেও, চতুর্থ উইকেটে ১২০ রানের জুটি গড়ে আবাহনীর আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি বিহারী ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক ৬৩ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন। আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন শতক হাঁকানো বিহারী। এই ভারতীয় ক্রিকেটার ১১৫ বলে ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।আফিফ ২৯ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে আবাহনী।