শেষ ওভারে রূপগঞ্জ টাইগার্সের দরকার ৮ রান, হাতে ৪ উইকেট। ম্যাচে টানটান উত্তেজনা। জয়ের পাল্লা যেন অনেকটাই ঝুঁকে পড়েছিল রূপগঞ্জের দিকে। এমন মুহূর্তে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী স্নায়ুটা ধরে রাখলেন শক্তভাবেই। ৩ রান দিয়ে তুলে নিলেন ২ উইকেট।
বাঁহাতি এই পেসারের শেষ ওভারের দারুণ বোলিংয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লো স্কোরিং এক ম্যাচে ৪ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ১১ বল বাকি থাকতে ২০২ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল শেখ জামাল।
ওপেনার সাইফ হাসান ৬১ রানের ইনিংস খেললেও একটা সময় ১৩১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল শেখ জামাল। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন জিয়াউর রহমান। মৃত্যুঞ্জয়ের রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভার, নাটকীয় জয় শেখ জামালের
লোয়ার অর্ডার এই ব্যাটার ৫০ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় খেলেন ৫৭ রানের ঝড়ো এক ইনিংস। শেষ পর্যন্ত তার আউটেই থেমেছে শেখ জামাল।
রূপগঞ্জ টাইগার্সের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন নাসুম আহমেদ। ১০ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন এই স্পিনার। দুটি করে উইকেট শিকার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, ফরহাদ রেজা আর এনামুল হক জুনিয়রের।
জবাবে ইনিংসের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে জাকির হাসান আর ফজলে রাব্বিকে সাজঘরের পথ দেখান জিয়াউর রহমান। শূন্য রানেই ২ উইকেট হারায় টাইগার্স।
মৃত্যুঞ্জয়ের রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভার, নাটকীয় জয় শেখ জামালের
সেখান থেকে আসিফ আহমেদ রাতুলের ৯৫ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস। ১৩২ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে আসিফ যখন আউট হন, তখনও জয়ের পথেই ছিল রূপগঞ্জ।
৫ উইকেট হাতে রেখে ৪ ওভারে দরকার ছিল ২৯ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর দারুণ বোলিংয়ে আর জয় পাওয়া হয়নি রূপগঞ্জের।
৮ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয়। জিয়াউর রহমানের শিকার ১৬ রানে ২টি। তিনিই ম্যাচসেরা হয়েছেন।