প্রথমবারের মতো আইপিএলে অধিনায়কত্ব করতে নেমে অসাধারণ ব্যাটিং নৈপূণ্যে দলকে জিতিয়েছেন রশিদ খান। তবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে এই ম্যাচে অধিনায়ক রশিদের চেয়েও গুজরাট টাইটান্সের জয়ের আসল নায়ক ডেভিড মিলার। এই দুই ক্রিকেটারের ব্যাটে ভর করে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে দারুণ জয় পেল গুজরাট।
আগে ব্যাট করে গুজরাটের সামনে ১৭০ রানের লক্ষ্য দেয় রবীন্দ্র জাদেজার চেন্নাই। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মিলারের অপরাজিত ৯৪ ও রশিদের ২০ বলে ৪০ রানের ক্যামিওতে এক বল হাতে রেখে জয় দেখে গুজরাট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুজরাটের পক্ষে মিলার ও রশিদ ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই তেমন রান করতে পারেনি। শুরুর দিকে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকলেও মিলার অপরপ্রান্তে ছিলেন অবিচল। উইকেট পড়লেও নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন এই প্রোটিয়ান। এক পর্যায়ে ৮৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে গুজরাট।
এরপর অধিনায়ক রশিদকে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়েন মিলার। যেখানে অবশ্য ২০ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে গড়া ৪০ রানের ক্যামিও খেলেন রশিদ। শেষের আগের ওভারে রশিদ ফিরলেও মিলার মাঠে থাকায় চিন্তামুক্ত ছিল গুজরাট শিবির।ক্রিস জর্দানের করা শেষ ওভারে ১৩ রান লাগতো গুজরাটের। সেই রান ৫ বলেই তুলে নেন মিলার।
এরমধ্যে অবশ্য একবার ক্যাচে পরিণত হন এই ব্যাটসম্যান। তবে নো বল হওয়ায় বেঁচে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮ চার ও ৬ ছয়ে ৫১ বলে অপরাজিত ৯৪ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মিলার। চেন্নাইয়ের পক্ষে ডোয়াইন ব্রাভো ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও আম্বাতি রায়ডুর ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে চেন্নাই। ৩২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর রায়ডু ও রুতুরাজ ৯২ রানের জুটি গড়েন। রায়ডু ফেরেন ৪৬ রান করে। অপরপ্রান্তে রুতুরাজ ৫টি করে চার-ছয়ে করেন ৭৩ রান।
শেষদিকে জাদেজার ১২ বলে ২ ছয়ে ২২ রানে লড়াকু সংগ্রহ পায় হলুদ জার্সিধারীরা। এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রইল গুজরাট টাইটান্স। অপরদিকে ৬ ম্যাচে মাত্র ১ জয় পাওয়া চেন্নাইয়ের অবস্থান ৯।