মুস্তাফিজুর রহমানের ম্যাজিকেল বোলিংয়ের পরও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ১৪ রানে হারতে হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসকে। গুজরাটের দেয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৫৭ রানে থেমেছে দিল্লির ইনিংস।
দিল্লির ইনিংসে সবচেয়ে বড় ধস নামিয়েছেন লকি ফার্গুসন। এই কিউই পেসার একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু পায়নি দিল্লি। তারা দলীয় ৩৪ রানের মধ্যে উপরের সারির তিন ব্যাটারকে হারায়। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ঋষভ পান্ত ও ললিত যাদব।
ললিত ২২ বলে ২৫ রান করে রান আউট হলে আবারও শুরু হয় দিল্লির ব্যাটারদের আসা যাওয়া। পান্ত ২৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন। এরপর রভম্যান পাওয়েল ১২ বলে ২০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই।
শেষ দিকে কুলদীপ যাদব ১৪ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি। প্রথম তিন ওভারে উইকেট শূন্য থাকলেও নিজের শেষ ওভারে এসে পাওয়েল ও খলিল আহমেদকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে গুজরাটকে চিন্তা মুক্ত করেছেন মোহাম্মদ শামি। দলটির হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া ও রশিদ খান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি গুজরাট। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় তারা। অভিষেক ম্যাচে ইনিংসের প্রথম ওভারেই মুস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক পান্ত। বোলিংয়ে এসে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে ভুল করেননি মুস্তাফিজ।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই ম্যাথু ওয়েডকে সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশের এই পেসার। শুরুতে অবশ্য আউট দেননি আম্পায়ার। পরবর্তীতে রিভিউ নিয়ে ওয়েডকে ফেরায় দিল্লি। এরপর দ্রুতই আউট হয়েছেন বিজয় শংকর। ডানহাতি এই ব্যাটার আউট হয়েছেন মাত্র ১৩ রানে।
এরপর অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়া এবং শুভমান গিল মিলে দারুণ এক জুটি গড়েন। ২৭ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে হার্দিক আউট হলে ভাঙে তাদের এই জুটি। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ৪৬ বলে ৮৪ রানে আউট হয়েছেন গিল। শেষ দিকে ডেভিড মিলার এবং রাহুল তেওয়াতিয়া মিলে দলের রান ১৭১ এ নিয়ে যান।
ইনিংসের শেষ ওভারে দুটি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। তেওয়াতিয়ার সঙ্গে অভিনব মনোহর সাদরাঙ্গানিকেও আউট করেছেন বাংলাদেশের এই পেসার। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া খলিল আহমেদ দুটি উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ যাদব।