অধিনায়ককে বেশ চটপটে হতে হয়। মুমিনুল হক সেটা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন। টেস্টে ভালো পিচে বোলারদের সুযোগ আসে কালেভদ্রে।
সেই সুযোগটা ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তৈরি করেছিলেন খালেদ আহমেদ। কিন্তু মুমিনুলের সিদ্ধান্তহীনতায় বেঁচে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেন্ট জর্জেস পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। সফরকারীদের ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার।
খালেদ আহমেদকে দিয়ে বোলিং শুরু করেন মুমিনুল। প্রথম ওভারে প্রোটিয়ারা তোলে মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় ওভারেই স্পিন আক্রমণ। মেহেদি হাসান মিরাজের ওভারে আসে ৭ রান।
ডিন এলগার আর সারেল এরউই শুরুটা করেন ভালোই। কিন্তু তৃতীয় ওভারেই এরউই সাজঘরে ফিরতে পারতেন। খালেদ আহমেদের বল সরাসরি আঘাত হানে তার প্যাডে। আবেদন নাকচ করে দেন আম্পায়ার।
খালেদ বলছিলেন, ব্যাটে বল লাগেনি। আউট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু মুমিনুল তাতে সাড়া দেননি। বারকয়েক কথা বলে পরে তিনি মত বদল করেন, রিভিউ নেওয়ার জন্য হাত তোলেন। কিন্তু ততক্ষণে নির্ধারিত ১৫ সেকেন্ড সময় শেষ।
ফলে মুমিনুল রিভিউ নিলেও আম্পায়াররা তা আর যাচাই করেননি। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, আউট ছিলেন এরউই। বল হিট করতো তার লেগ স্ট্যাম্পে। ৪ রানে জীবন পেয়ে যান প্রোটিয়া ওপেনার।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৩ রান। ডিন এলগার ১৩ আর এরউই ১০ রানে অপরাজিত আছেন।