ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার উড়ন্ত ছন্দে আছেন এনামুল হক বিজয়। আগের ছয় ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি করা এ ব্যাটার এদিনও পেতে পারতেন তিন অঙ্কের ছোঁয়া।
আউট হয়েছেন নার্ভাস নাইন্টিজে। তবে সেঞ্চুরি না পেলেও দলের বিশাল জয়ে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। দারুণ অবদান রেখেছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও রাকিবুল হাসানও।
শনিবার ইউল্যাব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ১২৭ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে ৩১২ রান সংগ্রহ করে তারা। জবাবে ৬৯ বল বাকি থাকতেই ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মোহামেডান। ফলে দলীয় ৪৫ রানে দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও সৌম্য সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজকেও হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি।
এরপর অবশ্য জাহিদুজ্জামান খানকে নিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫২ রানের জুটিও গড়ে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তারা। কিন্তু এ জুটি ভাঙতে এক প্রান্তে আরিফুল দায়িত্ব নিয়ে খেললেও অপরা প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি।
মূলত বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের ঘূর্ণিতে পড়ে লড়াইও করতে পারেনি মোহামেডান। ৪০ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। দারুণ বোলিং করেছেন আরেক স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান ও রবিউল হকও। দুই জনই পান ২টি করে উইকেট।
মোহামেডানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন আরিফুল। ৬৭ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ ৩৪ ও জাহিদ ২৬ রান করেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শাহাদাত দিপুকে নিয়ে ৫১ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন বিজয়। এরপর ১৩ রানের ব্যবধানে ২টি উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছিল মোহামেডান।
এরপর বিজয়ের সঙ্গে ১৩১ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন মিঠুন। তবে ৯ রানের ব্যবধানে এ দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে ফের ম্যাচে ফিরেছিল মোহামেডান। এরপর শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় পুঁজি এনে দেন নাসির হোসেন।
মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন বিজয়। ৯৪ বলে খেলেছেন ৯৪ রানের ইনিংস। নিজের ইনিংসটি ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজিয়েছেন এ ওপেনার। ৭৪ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলেন মিঠুন। ৪০ বলে ৬টি চারে ৩৮ রান করেন নাসির। ৩৫ রান আসে শাহাদাতের ব্যাট থেকে।
মোহামেডানের পক্ষে ৫৪ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন সৌম্য। এছাড়া ২টি করে উইকেট পান সোহরাওয়ার্দী শুভ ও মুশফিক হাসান