একদিকে আম্পায়ারদের আউট না দেওয়ার প্রবণতা, অন্যদিকে নিজেদের ক্যাচ মিস ও রিভিউ নিতে অদক্ষতার প্রদর্শনী- সবকিছু মিলিয়ে ডারবান টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে হতাশায় পুড়ছে বাংলাদেশ দল। কেননা ম্যাচ মিস ও রিভিউয়ের ব্যর্থতায় মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
ডারবানের কিংসমিডে আজকের (রোববার) প্রথম সেশন শেষে ৩৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে পাওয়া ৬৯ রানের লিডসহ তারা এখন এগিয়ে রয়েছে ১৭৪ রানে। অথচ সহজেই উইকেটের ঘরের সংখ্যাটি হতে পারতো ১-র বদলে ৩!
স্লিপ অঞ্চলে দাঁড়িয়ে ডিন এলগারের জোড়া ক্যাচ ছেড়েছেন ইয়াসির আলি রাব্বি ও নাজমুল হোসেন শান্ত। আরেক অপরাজিত ব্যাটার কেগান পিটারসেনের বিপক্ষে জোরালো আবেদনের পরেও রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। ফলে বেঁচে যান দুজনই।
চলতি ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকিয়ে ৬২ রানে অপরাজিত রয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এলগার। পিটারসেন খেলছেন ২১ রান নিয়ে। আরেক ওপেনার সারেল এরউই এবাদতের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ৮ রান করে।
আগের দিন ৪ ওভার খেলে বিনা উইকেটে ৬ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে আজ প্রথম উইকেট জুটি টেকে ১৯তম ওভার পর্যন্ত। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় এবাদতের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ৫১ বলে ৮ রান করা এরউই।
এটি প্রথমে আউট দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিতে ভুল করেনি বাংলাদেশ। যা আসে টাইগারদের পক্ষে। থার্ড আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত জানাতেই নিজের ট্রেডমার্ক স্যালুট দেন এবাদত। অবশ্য এরউইয়ের আগেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন এলগার।
দিনের দ্বিতীয় ওভারে প্রোটিয়া অধিনায়কের বিপক্ষে জোরালো আবেদন করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু আউট দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশ দল রিভিউ নিলে দেখা যায়, হিটিং অংশ ছিল আম্পায়ার্স কল। অর্থাৎ আম্পায়ার আউট দিলে সেটিতে উইকেট পেতো বাংলাদেশ।
এই দফায় রিভিউতে বাঁচার পর আরও দুইবার ক্যাচ দিয়েও জীবন পান এলগার। মিরাজের করা ইনিংসের ২০তম ওভারের প্রথম বলে তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে। কিন্তু সেটি তালুবন্দী করতে পারেননি শান্ত।
পরে এবাদতের করা ২৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ছাড়েন ইয়াসির রাব্বি। প্রথমে ৩৪ ও পরে ৪৩ রানে জীবন পান এলগার। সেখান থেকেই তুলে নেন চলতি ম্যাচে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটি।
আরেক অপরাজিত ব্যাটার কেগান পিটারসেনের বিরুদ্ধে রিভিউ নিলে উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। খালেদের করা ২৬তম ওভারের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি গিয়ে আঘাত হানে কেগানের ভেতরের পায়ের প্যাডে। কিন্তু আউট দেননি আম্পায়ার।
বোলার খালেদ পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন এটি আউট, কিন্তু রিভিউ নেননি অধিনায়ক মুমিনুল হক। পরে রিপ্লে’তে দেখা যায়, তিনটি লাল অর্থাৎ আউট ছিলেন কেগান। আম্পায়ারের বদান্যতা ও বাংলাদেশের অদক্ষতায় ১৪ রানে বেঁচে যান কেগান।