আইপিএলে এ নিয়ে চতুর্থ দলে খেলার স্বাদ পাচ্ছেন মোস্তাফিজ। ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রূপিতেই মোস্তাফিজকে দলে পেয়ে যায় দিল্লি ক্যাপিট্যালস। আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লীর অধিনায়ক রিশভ পান্ট। মুস্তাফিজুর রহমান এদিন বোলিং উদ্বোধন করেন। শুরুটা হয় অবশ্য ওয়াইড দিয়ে। এরপর লিগ্যাল ৬ ডেলিভারিতে খরচ করেন মাত্র ১ রান।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে মুস্তাফিজ জুটি বেঁধে বল করতেন চেতন সাকারিয়ার সাথে। সেই সাকারিয়া এদিন ছিলেন একাদশে। দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে দিল্লীকে উইকেটের খোঁজ পাইয়ে দেন এই তরুণ। প্রথম উইকেট হারিয়েই নড়বড়ে হয়ে পড়ে কলকাতা। মুস্তাফিজ আবারও বল হাতে নেন ষষ্ঠ ওভারে। কোনো বাউন্ডারি হজম না করে সেই ওভারে ৫ রান খরচ করেন।
এরপর ‘কাটার মাস্টার’কে ডেথ ওভারের জন্য সঞ্চয় করে রাখেন পান্ট। এই ফাঁকে কূলদীপ যাদব একের পর এক আঘাত হানেন কলকাতার ব্যাটিং অর্ডারে। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ৩৭ বলে গড়া তার ৪২ রানের ইনিংস দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে।
নারাইন-রাসেলরা ব্যর্থ হলেও আইয়ারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন নিতিশ রানা। ১৮তম ওভারে ১০ রান দেওয়া মুস্তাফিজ শেষ ওভারে এসে সাজঘরে ফেরান নিতিশকে। তার আগে ৩৪ বলের মোকাবেলায় ৫৭ রান করেন নিতিশ, হাঁকান তিনটি চার ও চারটি ছক্কা।
সেই ওভারে মুস্তাফিজ ছিলেন দুর্দান্ত। সেই ওভারে মাত্র ২ রান যুক্ত হয় কলকাতার বোর্ডে, বিনিময়ে মুস্তাফিজ তুলে নেন তিনটি উইকেট। নিতিশকে ফেরানোর আগে আউট করেন রিঙ্কু সিংকে। পরের বলে রিভিউ নিলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরান নিতিশ ও টিম সাউদিকে। শেষ বলে কোনো রানই দেননি।
দিল্লীর পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট শিকার করেন কূলদীপ যাদব। মুস্তাফিজুর রহমান শিকার করেন তিনটি উইকেট। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৪৬ রান।