ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের খেলা চলছিল তখন। শেষ বলটি ছুঁড়লেন আবাহনী লিমিটেডের বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি।
বাম পা এগিয়ে সোজা ব্যাটে ডিফেন্স করার চেষ্টা করলেন খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির ওপেনার হাসানুজ্জামান। এলবিডব্লিউয়ের আবেদন এলো না সানির কাছ থেকে।
বরং তার শরীরী ভাষায় হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। তবে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল আঙুল উঁচিয়ে দিয়ে দিলেন আউটের সিদ্ধান্ত।
রোববার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ঘটেছে এই ঘটনা।
এদিকে, বিসিবির ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি দেখানো হয়েছে ম্যাচ। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঝড় বয়ে যায় ট্রল ও সমালোচনার।
ম্যাচ শেষে এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করেনি ২০ রানে হেরে যাওয়া খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। তবে ভিডিও দেখে নিজ উদ্যোগেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার আহমেদ।
“আমার নজরেই এসেছে। বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি থেকেই তার কাছে এমন ভুলের আনুষ্ঠানিক কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।”
ছেলেদের ক্রিকেটে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৪০ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মাসুদুর।
আবাহনী-খেলাঘর ছিল তার ক্যারিয়ারের দেড়শতম লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ। এমন অভিজ্ঞ আম্পায়ার এই ভুল কী করে করলেন, আলাপচারিতায় জানতে চেয়েছিলেন ইফতেখার।
“(মাসুদুর) মুকুল আমাকে বলেছে, সে ভুল করেছে। মনোযোগের ঘাটতির কারণে এমনটা হয়েছে। শোনার পর আমি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।
এর থেকে তো বেশি কিছু করার নেই। আম্পায়াররা তো মানুষ, তাদের ভুল হতে পারে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মেইল পাঠাচ্ছি মুকুলের কাছে ভিডিও ফুটেজটা দিয়ে। তার বক্তব্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাই।”
“আমি জানতে চেয়েছি, এত দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়ার কারণ কি? সে বলেছে হয়তো আমার মনোযোগের ঘাটতি ছিল। আমি বলেছি, ওটা লিখিত দাও। মনোযোগের ঘাটতি দুয়েকবার গ্রহণ করা যাবে, বারবার তো যাবে না।”
ঘরোয়া ক্রিকেটে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ পুরনো। এবার লিগ শুরু হলো মাত্র কয়েক দিন, এর মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত। ইফতেখারের আশা, এটির পুনরাবৃত্তি আর হবে না।
“আমি পর্যবেক্ষণ করছি। আমার দায়িত্ব পর্যবেক্ষণ করা, এর বেশি কিছু তো আমি করতে পারি না। লাভ হবে কী হবে না, সেটা জানি না। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার উদ্দেশ্য খানিকটা চাপে রাখা।